জিন সাধনার একটি সাধারণ পদ্ধতি (শুধুমাত্র জ্ঞান চর্চার উদ্দেশ্যে)
বিপদজনক এবং ইসলামে সন্দেহজনক/নিষিদ্ধ মনে করা হয়। নিজ দায়িত্বে পড়ুন, প্রয়োগ নয়।
প্রয়োজনীয় জিনিস:
- নির্জন স্থান (অন্ধকার ঘর বা নির্জন কবরস্থান ইত্যাদি)
- সাদা পোশাক
- আতর/গন্ধ (যেমন: চন্দন, আগরবাতি)
- কাগজ, কালো কালির কলম (তাবিজ লেখার জন্য)
- রোজা রাখা (সাধারণত ৩, ৭ বা ২১ দিন)
- ওজু অবস্থায় থাকা আবশ্যক
সাধনার একটি প্রচলিত মন্ত্র/দোয়া (সাধকেরা যেটি ব্যবহার করেন):
আয়াতুল কুরসি (সূরা বাকারাহ: ২৫৫):
اللَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ...
প্রতি রাতে ৩৩ বার পাঠ করুন। (কিছু পদ্ধতিতে ৭০ বা ১০১ বার বলা হয়)
সূরা জিন (সূরা ৭২, সম্পূর্ণ)
প্রতিদিন অন্তত ৩ বার সম্পূর্ণ সূরা জিন পাঠ করা হয়।
অতিরিক্ত দোয়া / মন্ত্র (লোকাচার অনুযায়ী):
"ইয়া মা'শারাল জিন, আজ্জিবু বি হাক্কি বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম"
(অর্থ: হে জিন সম্প্রদায়, আল্লাহর নামে তোমাদের ডাকছি, সাড়া দাও।)
এ মন্ত্রটি নির্জনে ১০৮ বার, ২১ দিন পর্যন্ত উচ্চারণ করা হয়।
সাধনার ধাপ:
- নির্জনতা: সাধক নির্জনে একাকী ধ্যান করেন। আলো নেভানো থাকে।
- রিয়াজত: দিনের বেলা রোজা ও রাতে নির্দিষ্ট আয়াত/মন্ত্র পাঠ।
- সম্মোহন / ধ্যানচর্চা: চোখ বন্ধ করে ধ্যান করা, কল্পনায় জিনের চিত্র আঁকা হয়।
- জিনের উপস্থিতি: সাধকের দাবি অনুযায়ী, ধ্যান বা মন্ত্রের মাধ্যমে কোনো জিন আত্মপ্রকাশ করে বা স্বপ্নে দেখা দেয়।
- চুক্তি/বন্ধন: কখনো কখনো "জিন" নামক কোনো অস্তিত্বের সাথে "চুক্তি" হয় — যে সাধকের কাজে সাহায্য করবে।
বিধি-নিষেধ:
- অশুচিতা নিষেধ: শারীরিক ও মানসিক শুচিতা আবশ্যক। ওজু ছাড়া কাজ করা যাবে না।
- নিয়ম ভঙ্গ নিষেধ: নির্ধারিত সময় বা সংখ্যা লঙ্ঘন করলে উল্টো ফল হতে পারে।
- ব্যবহার নিষেধ: কৌতূহল, অর্থ বা ক্ষমতার জন্য এ সাধনা করা হারাম বলে গণ্য হয়।
- নারীদের জন্য অধিক বিপজ্জনক বলে গণ্য: লোকবিশ্বাস অনুযায়ী নারীদের প্রতি কিছু জিন বেশি প্রতিক্রিয়াশীল।
- স্বয়ংক্রিয় ত্যাগ না করলে বিপদ: যদি সাধনা বন্ধ করতে হয়, তখন অভিজ্ঞ গুরুর মাধ্যমে বন্ধ করতে হয়, না হলে জিন প্রতিশোধ নিতে পারে বলে অনেকে বিশ্বাস করে।
সতর্ক বার্তা:
- ইসলাম ধর্মে জিন সাধনা, তাবিজ বানানো, কিংবা জিনকে দাসে পরিণত করা হারাম হতে পারে। (বিশেষত শিরক বা আল্লাহ ছাড়া অন্যের কাছে সাহায্য চাওয়া)।
- এই চর্চা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করতে পারে — অনেকেই হ্যালুসিনেশন বা সিজোফ্রেনিয়ার মতো সমস্যায় ভোগেন।
- কেবল শিক্ষার উদ্দেশ্যে জানলে ঠিক আছে, কিন্তু নিজের ওপর প্রয়োগ না করাই শ্রেয়।